রাজনীতিবিদ নাকি ক্রিকেটার-বেছে নিলেন তিনি
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
২৮-০২-২০২৪ ০৪:১৪:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-০২-২০২৪ ০৪:১৪:২৭ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
একদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতকে টেস্ট সিরিজ জেতানোর নায়ক হনুমা বিহারি। অন্যদিকে রাজ্যদলের এক ক্রিকেটার, যার অন্যতম পরিচয় স্থানীয় এক রাজনৈতিকের ছেলে তিনি। কুন্ত্রাপাকাম নারশিমা প্রুধভিরা নামের সে ক্রিকেটারকে বকা বা গালি দেওয়ার দেওয়াতেই অন্ধ্রপ্রদেশের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিহারীকে।
প্রুধভিরা হনুমার দাবিকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু রাজ্যদলের কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়রা আবার বিহারীর পক্ষেই ব্যাট ধরেছেন। ওদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বিহারীকেই দোষারোপ করছে। এ বিতর্কে সাবেক ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়া পক্ষ নিচ্ছেন বিহারীর।
অন্ধ্রপ্রদেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিহারী নিজে বারবার অন্য রাজ্যদলে যাওয়ার কথা জানিয়েও মত বদলেছেন এবং অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। আর জাতীয় দলে খেলার জন্যও তাঁকে সবসময় পাওয়া যায় না, এটাও বিবেচনায় রেখেছে তারা। এ কারণেই অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
এদিকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে চোপড়া বলেছেন, 'কাদা মাখামাখি হচ্ছে, দুই পক্ষ থেকেই দোষারোপ চলছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে, একজন খেলোয়াড়কেই সবসময় বিশ্বাস করতে হবে। হনুমা বিহারী যেনতেন খেলোয়াড় নয়। যখন হাতে চিড় ধরেছিল, তখন অন্ধ্রর হয়ে এক হাতে ব্যাট করেছে।'
তবে শুধু খেলোয়াড় বলেই বিহারীর পক্ষ নিচ্ছেন এমন নয়, 'ওর পথচলাটা দুর্দান্ত। অন্ধ্রকে নকআউটে তুলেছে সে। এই দল গড়েছে সে। ওকে আমি শ্রদ্ধা করি-সেটা সিডনিতে যখন ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে খেলার জন্য হোক, বা অন্ধ্রর জন্য এক হাতে ব্যাট করার জন্য হোক। আমি বিহারীর কথাই বিশ্বাস করব।'
চোপড়ার ধারণা, এ ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও জড়িয়ে যাবে। এবং সেক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। এবং অন্ধ্রের হয়ে বিহারীর আর না খেলার সিদ্ধান্তকেও সঠিক মনে করেন সাবেক ওপেনার।
গত ২৬ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের কাছে মাত্র ৪ রানে হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে যেতে পারেনি অন্ধ্রপ্রদেশ। ম্যাচ শেষেই ইনস্টাগ্রামে বোমা ফাটান বিহারী। ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মৌসুমের পর আর অন্ধ্রপ্রদেশের হয়ে খেলবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন হনুমা।
হনুমা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, 'বেঙ্গলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমি অধিনায়ক ছিলাম। সে ম্যাচে ১৭তম খেলোয়াড়ের সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেছিলাম। সে তার বাবাকে অভিযোগ করে (ওর বাবা একজন রাজনীতিবিদ)। এরপর ওর বাবা অ্যাসোসিয়েশনে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।'
ওই ঘটনার পরও দায়িত্ববোধ ও দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বিহারী। মৌসুম শেষ হতেই তাই জানিয়ে দিলেন, অন্ধ্রের হয়ে আর নয়।
হনুমা ওই সতীর্থের নাম প্রকাশ না করলেও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সতীর্থ - উইকেটকিপার প্রুধভিরা ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে তিনিই সেই খেলোয়াড় জানিয়ে পালটা দাবি করেছেন, হনুমা যা বলেছেন, তা মিথ্যা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স